সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাহা রাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন না করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। গত রবিবার এলাকার গণমানুষের সার্থে এ আবেদনটি করেন উপজেলার ৪ নং বড়দল (উত্তর) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম। জানা যায় উপজেলার ৪ নং বড়দল( উত্তর) ইউনিয়নের রাজাই মৌজার চালিয়ারঘাট মানসিগোফ মৌজাস্ত ও মাহারাম (পাঠলাই) নদীর নদীর সাথে যাদুকাটা নদীর সংযোগ থাকায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ও বোর ধানের হাওর সহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে ডুবে যেত।যাদুকাটার শাখা নদী মাহারাম নদীতে প্রতি বছর লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হতো অকাল বন্যায় হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য। পাহাড় থেকে নেমে আসা পলি ও বালিতে এবং ১৯৮৮ সনের ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ি ঢলে মাত্রাতিরিক্ত বালি চলে এসে স্তায়িভাবে ভরাট হয়ে যায় মাহারাম নদীর মুখ ফলে ৩৩ বছর ধরে বোরো ফসল রক্ষায় মাহারাম নদীতে আর বাঁধ নির্মাণ এর কোন প্রয়োজন পরছেনা।সম্প্রতি কিছু দুষ্কৃতকারী ও এলাকার সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী একটি চক্র বিভিন্ন পন্তায় মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলনের পায়তারা করছে। ফলে পর্যটন স্পট খ্যাত শিমুল বাগান সহ নদীর পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে ডুবে যাওয়ার হুমকির মুখে পরে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। (উওর) বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম বলেন মাহারাম নদীর মুখ থেকে বালি করলে ৩ টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম সহ হাওরের বোরো ফসল অকাল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ জন্যই আমি জনস্বার্থে নদীর মুখ থেকে বালি উত্তোলন না করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের লিখিত আবেদন দিয়েছি। জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন। উপজেলার ৩টি নদীতে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট লিজ দিয়েছেন লিজ ব্যতিত কোন স্তান হতে অবৈধ ভাবে কেও বালি উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply