আমার নাম গনতন্ত্র। বাস্তবতার মাপকাঠিতে আমি অশরীরি। কল্পজগতের শিল্পীদের আঁকা এ যাবৎকালের সবচে’ সুন্দরী। রূপ লাবন্যের মাপকাঠিতে আমার কাছে আরব্য উপন্যাসের যে কোন রাজকুমারী, প্রেম উপাখ্যানের নায়িকা লাইলী, শিরী, মমতাজমহল, প্রিন্সেস ডায়না, নায়িকা সোফিয়া লরেন, শ্যারন টেড বা ঐশ্বরিয়া রায় অথবা স্বর্গের উর্বশী কেউই সমকক্ষ নয়। মানব জাতির শত বর্ষ আমার কাছে এক বছরের মতো। আমার জন্ম সম্ভবতঃ খ্রিষ্টপূর্ব ২১শতকে হলেও যৌবন প্রাপ্তি এবং আনুষ্ঠানিক মালাবদল হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬১ অব্দে। এথেন্সের সেনাপতি, পরে আমার হাত ধরে স¤্রাট, পেরিক্লিসের সাথে। বলতে দ্বিধা নেই আমি সাধারনতঃ ৪ থেকে ৫ বছর পর পর মালাবদল করে থাকি। এটা আমার সহজাত ধর্ম। তবে প্রথম মালাবদল যার সাথে করি, সে তিনিই প্রথম মালাবদলের বদৌলতে আমাকে নিয়ে একাধারে ৩২বছর সংসার করেন। অথচ গোটা দেশবাসি আমার সাথে মালাবদলের লক্ষ্যে প্রথমে অঙ্গুলী উত্তোলন এবং সর্বশেষ হাতে তলোয়ার এবং তীর ধনুক তুলে নেয়। তাদের তাজ্য বুকের লাল তাজা রক্তে আজ আমার ঠোঁট রঞ্জিত- যাকে মানুষেরা লিপষ্টিক বলে থাকে। সারা পৃথিবীতে আমার রূপ লাবন্যের কথা ছড়িয়ে পড়ে। সর্বত্র সবাই আমার প্রেমে অন্ধ আবেগে জীবন দিতে থাকে। আর আজও তা চলমান। দোষ স্বীকার করতে বাধা নেই-মানব জাতির নারীদের মতো বয়স লুকোতে আমার ভালোই লাগে। আর তাতে আমার বর্তমান বয়স প্রায় পঁচিশের কাছাকাছি। নিজকে যুবতী ভাবতেই মনভরে যায় আনন্দে। তাইতো আজও পৃথিবীর নানাহ জনপদে এমনকি এ বাংলাদেশেও শত শত লোক আমার সাথে মালাবদল করার জন্য রাস্তায় গুলি খেয়ে প্রান দিচ্ছে, আবার কেউবা জেলের ঘানি টানছে। সত্যিই আমি গর্বিতা, রূপ-লাবন্যে অদ্বিতীয়া। অসীম মোহনীয় ক্ষমতার অধিকারীনি। আর দিন দিনই আমার প্রতি প্রেমিক তথা মানুষদের আকর্ষণ বাড়ছে।
তবে আমার বিকাশ তথা আনুষ্ঠানিক নামকরন ঘটে রোমান স¤্রাট ডেমোক্রিটাসের হাত ধরে। তিনি আমার প্রেমে এতোই মুগ্ধ ছিলেন যে, আর আমিও তাঁর প্রতি এতোটা নিবেদিত ছিলাম যার জন্য আমার নাম রাখি ডেমোক্রেসী। কারন আমি ভালোবাসার মূল্য শোধে কার্পণ্য করিনা। তাই আংরেজীতে আমার নাম হয়-ডেমোক্রেসী। বাংলা ভাষায় গণতন্ত্র। নামে যাই হইনা কেন মানব জাতির মত প্রকাশের জন্য, পছন্দের মানুষের দ্বারা সংসার তথা রাষ্ট্র চালনার জন্য সবাই আমাকে পছন্দ করে। ভালোবাসে। তবে দুঃখ হয় যখন দেখি জনগনের সে আরাধ্য তথা নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই যখন তাদের লালিত বিশ্বাসের অমর্যাদা করে। লুটে নেয় জনতার সম্পদ। নিগ্রহ করে। তখন নিজকে অসহায়া মনে হয়। আমার প্রেমিক কুলের শিরমনিগন অনেক সময় আমার প্রেমিকদের শিরপীড়ার কারন হয়ে দাঁড়ায়। আবার মাঝে মাঝে নিষ্ঠুর ভিলেনরা আমার বেডরুমে ঢুকে, যাদের মানুষেরা স্বৈরাচার বলে থাকে। ইতালীর ভিলেন মুসলিনী আর জার্মানীর হিটলার-এদেরকে মানুষ আজও ঘৃনা করে। এইতো সেদিন অর্থাৎ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার প্রেমিক তথা জনগনের আত্মিক সমর্থনে নির্বাচনে নিরঙ্কুষ জয়লাভ করে। অথচ লাঠিয়াল ইয়াহিয়া খান আমার প্রেমিকদের বাসরঘর তথা জাতীয় সংসদে ঢুকতে দেয়নি। বাংলাদেশের জনগনের ভালোবাসার কাছে আমি ঋনী। আমার জন্য আমার লক্ষ লক্ষ প্রেমিক জীবন দেয় রণ ক্ষেত্রে। পরিশেষে আমি মুক্ত হই। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনি ত্যাগ আর কোথাও দেখা যায়না। অথচ এখানেও আমার সংসার জীবন খুব একটা সুখপ্রদ হয়নি। পরিবেশ দুষনের কারনে হলেও বাক্শাল রোগে আমার বাকরুদ্ধ তথা প্রচন্ড গলা ব্যাথা এবং জিহ্বার জড়তায় ভুগতে হয়। যে জাতি আমার মুক্তির জন্য অকাতরে বুকের রক্ত ঝরাতে পারে-সে সংসারে যদি আমার অবাধ বিচরণ না থাকে, আমার প্রেমিকরা যদি আত্মকলহে লিপ্ত থাকে, সে সংসার করতে কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে মনে হয়- ভিলেনদের মানসিকতা আমার প্রেমিকদের তাড়া করে ফিরে। দুঃখ হয় স্বর্গের ঊর্বশী সুভদ্রার বস্ত্রহরন করা সত্বেও দেবতা ইন্দ্রকে মানুষ দেবরাজই মনে করে। আর আমাকে গৃহবন্দী যারা করে-তাদেরকেও একশ্রেণীর মানুষ তথা সুবিধাবাদিরা পুজো দিয়ে যাচ্ছে।
আমি চাই সবার ছোঁয়া। স্পর্শ। দুঃখ হয় পৃথিবীর খুব কম বাসরে তথা সংসার বা দেশেই আমার সুখ বাসর খুব একটা সুখকর হয়নি। আমার বড় প্রেমিক মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। তিনি সারা পৃথিবীর কাছে আমাকে তুলে ধরেছেন। অথচ সে তিনিও আমার কৃষ্ণাঙ্গ প্রেমিকদের কোনদিন খুব একটা আপনভাবতে পারেন নি। তাই তো তিনি তিন তিন বার জাতীয় সংসদে কৃষ্ণাঙ্গদের আফ্রিকায় নির্বাসিত করার জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। ভারতের মহাত্মা খ্যাত মোহন চাঁদ করম চাঁদ গান্ধী হরিজনদের প্রতিনিধিত্বকে স্বীকার করেননি। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তো আমার জন্য বহু বছর জেল খেটেছেন, জুলুম সহ্য করেছেন, এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে আমার হাত ধরে এ সংসারের হাল ধরেছিলেন, কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিই হোক বা যে কারনেই হোক তিনিও আমার কাবিনের শর্ত মানতে পারেননি। ফিলিপাইনের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মার্কোস আমাকে নিয়ে প্রায় তিন দশকের মতো যে আচরন করেছেন, আমার প্রেমিক তথা দেশের জনগনের সাথে – তা ভাবলে আজও গা শিউরে উঠে। জনগনতন্ত্র তথা সর্বহারার গনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্ট্যালিন যে পরিমান নর হত্যা করেছেন, তা একমাত্র আলেমুল গায়েবই জানেন। আসলে আমার প্রেমিক জনগন আমাকে যাদের হাতে সমর্পন করে- সে নেতা-নেত্রীরা আমার মর্যাদাই দিতে জানেন না। এদের বেশীরভাগই অভিনেতা এবং অভিনেত্রী। এদের উচ্চারিত প্রতিজ্ঞার সাথে কর্মের মিল পাওয়া মুশকিল। আমার প্রেমিক জনগনের খাদ্য বস্ত্র লুটেও এদের অরুচি হয় না। তাইতো পৃথিবীর অনেক জনপদে রিলিফ চোর, কম্বল চোর শ্লোগানগুলো উচ্চারিত হয়েছে বা আজও হচ্ছে। এসব দেখে এখন অনেক বিজ্ঞজন আমাকে নিয়েই কুৎসিত মন্তব্য করেন। কেউ কেউ এখন আমাকে উধসহপৎধপু অর্থাৎ নরকভোগতন্ত্র বা অভিশাপতন্ত্র বলে সম্বোধন করেন। হয়তো যৌতুক লোভী স্বামীদের হাতে নির্যাতীতা নারীদের ভাগ্য নিয়েই আমার জন্ম!
আমি স্বাচ্ছন্দবোধ তখনই করি যখন যে অর্থে এবং যে লক্ষ্যে আমার প্রেমিক জনসাধারন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে প্রতিনিধিগন যখন সে বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করে। কারন প্রেম নিবেদন আবেগের ব্যাপার। আর তার মর্যাদা রক্ষা প্রেমের প্রকৃত মূল্য শোধের মতো। শক্তি প্রদর্শন তথা কেন্দ্র দখল করে আমার প্রেমিকদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া- বা একজনে একাধিকবার আমার প্রতি আবেগ প্রদর্শন যাকে বিজ্ঞজনেরা জালভোট বলে থাকেন- এতে আমি লজ্জিত হই। কারো অধিকারের প্রতি হস্তক্ষেপ করা আমাকে কলংকিত করার শামিল। আর এ কাজটা ভিলেনদেরই মানসিকতা সঞ্জাত। প্রত্যেকেরই অধিকার আছে আমাকে ভালোবাসার। কারন আমি এককভাবে কারো রক্ষিতা নই। আমি জনগনের পবিত্র আমানত। যে কোন জনপদে, যে কোন সময়ে যারাই আমার মর্যাদা হানি করেছে-প্রকৃতির অভিশাপে কারোই আখের সুখকর হয়নি। দুঃখ হয় যখন দেখি ৬/৭ বছরের শিশুরাও আমাকে ৩৮ বার ভালবাসা জানায়-যাকে মানুষেরা জালভোট বলে থাকে। অথচ আমাকে নাকি সবাই ভালোবাসে! ¯্রষ্টার বিধান মোতাবেক সকল মানুষের সমঅধিকারের বাস্তব প্রতিমূর্তিই তো আমি। এখানে কালো-ধলো, আর্য-অনার্য, হারিজন বা ব্রাহ্মন ধর্ম বিবেচনায় ইহুদী-খ্রিষ্টান, হিন্দু-মুসলমান, রোহিঙ্গা-বৌদ্ধ কোন ভেদাভেদ টানা আমার জন্য অমর্যাদাকর। দুঃখ হয় আমার ঘটক তথা সাংবাদিক ভাইদের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে পৃথিবীর প্রেমিকদের কাছে আমার পরিচয় তুলে ধরেন, প্রেমিকদের উদ্বুদ্ধ করেন, তারাই আজ বিভিন্ন জনপদে নিগৃহিত/লাঞ্ছিত এমনকি খুনও হয়। নিঃসন্দেহে এটা ভিলেনদের কাজ। আমি এদের শত্রুই ভাবি।
এবার আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের কিছু স্মৃতিকথা তুলে ধরছি। আমার স্বঘোষিত প্রেমিকনামে খ্যাত-যদিও বাস্তবতার নীরিখে নিষ্ঠুর, ভিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রগন ভিয়েতনামে, লাওসে, কম্পুচিয়ায় আমাকে পরিচিত করাতে গিয়ে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আটত্রিশ লক্ষ গনতন্ত্রপ্রেমী মানুষকে হত্যা করেছে। আহত ও পঙ্গু করেছে তার পাঁচগুন মানুষকে। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে আমার-নাচের মঞ্চ প্রসারিত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত দেশটিকে প্রায় মানব শূণ্য করে ফেলেছে। একই অবস্থা আফগানিস্তানে, সিরিয়ায়, লিবিয়ায়, সুদানে, মিশরে। যেভাবে তারা মানুষ হত্যা করছে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমাকে ভালোবাসার প্রেমিক তথা ভোটার আনতে হবে- বিভিন্ন গ্রহ থেকে। ১৯৭১ সালে আমাকে উদ্ধারের জন্য এ বাংলাদেশে আমার যতো প্রেমিক শহীদ হয়েছেন, মুক্ত স্বদেশে মানব সৃষ্ট বিপর্যয়েও নিষ্ঠুরতায় আমার শহীদ প্রেমিকদের চেয়ে কি কম মানুষ মরেছে? একই অবস্থা ভারতে। আন্তঃ বর্ণবাদ এবং ধর্মীয় সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা কি উপনিবেশিক বৃটিশের হাতে নিহতদের চেয়ে কম? খলনায়ক-নায়িকা ছাড়া সবাই আমাকে ভালোবাসে। লিবিয়ায় যেভাবে গাদ্দাফিকে হত্যা করলো, তা কি আমার প্রতি অর্পিত ভালোবাসার বাস্তবায়ন? মুসলমান জাতির পবিত্র কোরবানী ঈদের দিন আমার দোহাই দিয়ে প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে হত্যা এবং তার পরবর্তীতে তার ছেলেকে নির্মম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সে হত্যা কোন ভাবেই আমার প্রতি ভালোবাসা নয়। প্রেম প্রীতি ভালোবাসা নিষ্ঠুরতার বিপরীত শব্দ। আমিতো সবার প্রতিই উদার। সংখ্যাগরিষ্টের মতামতের মতই আন্তরীক। যেখানে নিষ্ঠুরতা- সে গৃহে আমি নিজকে নিগৃহিতাই মনে করি। মানব জাতির ঐক্যমত, সম্প্রীতি আর ভালোবাসার মাঝেই আমি নিজকে নিরাপদ মনে করি।
সবচে’ বেশী আঘাত পাই, মানুষ যখন তার নিজস্ব আচরিত ধর্মানুসারীদের মাঝে আমাকে অনিরাপদ ভাবে। প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল বানীইতো হলো মানুষ মানুষকে ভালো বাসবে। এখানে বর্ণ এবং বর্ণভেদের অবকাশ নেই। যে ধর্ম মানুষকে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিন্নতার জন্য হত্যা করে, লাঞ্চিত করে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়, ¯্রষ্টার বিধান মোতাবেক সেটিতো ধর্মের পর্যায়ই পড়েনা। তাছাড়া যে মানুষটি যে ভূ-খন্ডে জন্ম নিয়েছে- সে সে ভূ-খন্ডেরই সন্তান। নাগরিক। বিশ্বাসের ভিন্নতার জন্য সংখ্যালঘু নির্যাতন আমার মর্ম পীড়ার কারন। এই যে মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষু, তার সেনাবাহিনী এবং সরকার যে ভাবে নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যা এবং পুরুষদের পুড়িয়ে মারছে- বিশ্ব মানব সম্প্রদায় আর আমার তথাকথিত প্রেমিকদের তৃপ্তির আড়ালের হাসি আমার মর্ম পীড়ার কারন। আজকের বিশ্বে আমার প্রেমিক বলে গর্বিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সোভিয়েত রাশিয়া, ধর্ম-নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী ভারত বা গণচীন, কই কেউতো আমার স্বজনদের বাঁচাতে কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি! বিলম্বে হলেও বুঝলাম আমার প্রতি কারুই দায়বদ্ধতা নেই। ভারতের আসাম, কাশ্মীর, গুজরাটে এবং মধ্যপ্রদেশে মুসলমান ধর্মাবলম্বী ও দলিত শ্রেনীর প্রতি যে আচরন করা হয়- মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় মুসলিনি, হিটলার, ইয়াহিয়া খান, মার্কোস বা ষ্ট্যালীনের কাছেই আত্মসমর্পন করি। কি লাভ-ভন্ড প্রেমিকদের দেয় জনগনের রক্তরাঙা গোলাপের গন্ধ শুঁকে? আমার প্রতি ভালোবাসার পূর্ব শর্তই হলো মানুষ মানুষকে ভালোবাসতে জানতে হবে। সকল ভিন্নমতের মানুষকেই আমাকে ভালোবাসার সুযোগ দিতে হবে। মতামত প্রকাশের পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। নচেৎ আমি বনে যাব ভিলেনরূপী পাশবিক শক্তির রক্ষিতা। ভন্ড প্রেমিকদের হাত হতে আমাকে উদ্ধারের দৃঢ়চেতা পদক্ষেপই হলো আমার প্রতি উচ্চারিত ভালোবাসার প্রমান। আর আমার প্রেমিকদের উপর যারা জুলুম করে, সে সব অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের প্রতি আমার অশ্রুসিক্ত অভিসম্পাত। সবাকে আমার দুয়ারে আসতে দেয়ার নামই হলো আমার প্রতি অর্পিত দায়িত্ব এবং নীরেট ভালোবাসা। আমার প্রেমিকদের সর্বঙ্গীন কল্যান ও দীর্ঘায়ূ কামনাই আমার প্রাত্যহিক উপাসনা। বিশ্বব্যাপী সকল বর্ণ ও বিশ্বাসের মানুষের-আকাংখার মাঝেই আমি বেঁচে থাকি। বেঁচে থাকব।
ঢাকাঃ ৩রা জানুয়ারী ২০১৮খ্রিষ্টাব্দ।
Leave a Reply